মাড়ির রোগ বলতে আমরা কী বুঝি?
মাড়ির রোগ (Gum Disease) মানে দাঁতের গাঁট বা মাড়ি অংশে প্রদাহ, সংক্রমণ, রক্তপাত বা ফুলে যাওয়া। এটি সাধারণত ব্যাকটেরিয়া জমে গিয়ে শুরু হয় এবং চিকিৎসা না করলে দাঁত হারানোর মতো জটিল পরিস্থিতির সৃষ্টি করতে পারে।
🔍 সাধারণ মাড়ির রোগ ও লক্ষণ
| রোগের নাম | প্রধান লক্ষণ |
|---|---|
| জিনজিভাইটিস (Gingivitis) | মাড়ি লাল হয়ে যাওয়া, ফুলে যাওয়া, ব্রাশ করার সময় রক্ত পড়া |
| পিরিয়োডোনটাইটিস (Periodontitis) | দাঁতের গোড়া আলগা হওয়া, পুঁজ পড়া, মুখে দুর্গন্ধ |
| রিসেশন (Gum Recession) | মাড়ি সরে গিয়ে দাঁতের শিকড় প্রকাশ পাওয়া |
| অ্যাবসেস (Gum Abscess) | মাড়িতে ফোলা, ব্যথা ও পুঁজ জমা |
❗ কেন হয় মাড়ির সমস্যা?
-
নিয়মিত ব্রাশ না করা
-
ফ্লস না করা
-
ধূমপান ও তামাক ব্যবহার
-
ডায়াবেটিস বা ইমিউন সমস্যা
-
হরমোন পরিবর্তন (যেমন গর্ভাবস্থায়)
-
অপূর্ণ দাঁতের চিকিৎসা বা ভুল ফিটিং
✅ মাড়ির চিকিৎসা কীভাবে করা হয়?
১. স্কেলিং ও রুট প্ল্যানিং
-
মাড়ির নিচে জমে থাকা প্লাক ও টার্টার সরানো হয়
-
মাড়িকে প্রদাহমুক্ত করা হয়
👉 স্কেলিং সম্পর্কে পড়ুন
২. অ্যান্টিবায়োটিক ও মাউথওয়াশ
-
ব্যাকটেরিয়া নিয়ন্ত্রণে ও ইনফেকশন কমাতে
৩. সার্জিকাল চিকিৎসা (প্রয়োজনে)
-
গভীর ইনফেকশনের ক্ষেত্রে মাইনর সার্জারি করা হয়
-
ফ্ল্যাপ সার্জারি বা গ্রাফটিং হতে পারে
৪. লেজার চিকিৎসা (আধুনিক পদ্ধতি)
-
দ্রুত আরামদায়ক ও সুনির্দিষ্ট চিকিৎসা
🧼 কিভাবে মাড়ির সমস্যা প্রতিরোধ করবেন?
-
দিনে ২ বার ব্রাশ ও ১ বার ফ্লস করুন
-
নরম ব্রাশ ব্যবহার করুন
-
চিনি কম খান ও পানি বেশি পান করুন
-
ধূমপান এড়িয়ে চলুন
-
প্রতি ৬ মাসে ডেন্টাল চেকআপ করুন
👉 এখানে অ্যাপয়েন্টমেন্ট বুক করুন
যদি মাড়ি থেকে রক্ত পড়ে, কী করবেন?
-
গরম পানিতে লবণ মিশিয়ে কুলকুচি করুন
-
নরম ব্রাশ দিয়ে হালকা করে ব্রাশ করুন
-
২৪ ঘণ্টার বেশি রক্ত পড়লে ডেন্টিস্টের সঙ্গে যোগাযোগ করুন
🌐 এক্সটারনাল রেফারেন্স: