কেন শিশুদের দাঁতের যত্ন গুরুত্বপূর্ণ?
অনেকেই ভাবেন শিশুদের দুধ দাঁত পড়েই যাবে, তাই অতটা যত্ন দরকার নেই। কিন্তু এই ধারণা ভুল!
দুধ দাঁত না শুধু খাওয়ার জন্য দরকারি, বরং ভবিষ্যতের স্থায়ী দাঁতের অবস্থান, গঠন, এমনকি উচ্চারণেও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে।
✅ শিশুদের দাঁতের যত্ন: করণীয়
১. নিয়মিত দাঁত ব্রাশ করানো
-
সকালে ও রাতে দুইবার
-
ছোটদের জন্য pea-sized পরিমাণ শিশু উপযোগী ফ্লোরাইড টুথপেস্ট ব্যবহার
-
শিশু ৬-৮ বছর পর্যন্ত নিজে ঠিকমতো ব্রাশ করতে পারে না, তাই অভিভাবককে সহায়তা করতে হবে
২. মিষ্টি খাবার নিয়ন্ত্রণ
-
চকলেট, ক্যান্ডি, জুস, কেক—এসব দাঁতের ক্ষয় বাড়ায়
-
খাওয়ার পর পানি দিয়ে কুলকুচি করতে শেখান
-
রাতে খেয়ে ব্রাশ না করে ঘুমালে ক্ষতি হয় বেশি
৩. নিয়মিত ডেন্টাল চেকআপ
-
প্রথম দাঁত ওঠার পর ১ বছরের মধ্যে প্রথম ডেন্টাল ভিজিট
-
এরপর প্রতি ৬ মাস অন্তর চেকআপ
👉 ডেন্টাল চেকআপ বুক করুন
৪. ফ্লোরাইড প্রয়োগ ও ফিসার সিল্যান্ট
-
ফ্লোরাইড দাঁতকে শক্ত করে
-
ফিসার সিল্যান্ট দাঁতের ওপরের অংশে প্রোটেক্টিভ লেয়ার তৈরি করে, যা ক্ষয় প্রতিরোধ করে
🛠️ প্রতিকার: যদি সমস্যা শুরু হয়…
– ক্যাভিটি (দাঁতের গর্ত) হলে
✅ ছোট হলে ফিলিং দিয়ে প্রতিকার সম্ভব
✅ বড় হলে স্টিল ক্রাউন বা পালপোটমি লাগতে পারে
– দাঁত ভেঙে গেলে বা আঘাত পেলে
✅ যত দ্রুত সম্ভব ডেন্টাল চেকআপ
✅ অনেক ক্ষেত্রে দাঁত রক্ষা করা সম্ভব, দেরি না করাই ভালো
🛡️ প্রতিরোধের উপায় (Preventive Measures)
| অভ্যাস | প্রতিরোধ করে |
|---|---|
| প্রতিদিন ২ বার ব্রাশ | দাঁত ক্ষয় ও গাম ডিজিজ |
| চিনি কম খাওয়া | ক্যাভিটি |
| নিয়মিত চেকআপ | বড় সমস্যার আগেই সমাধান |
| ফ্লোরাইড / সিল্যান্ট | দাঁতের প্রাকৃতিক সুরক্ষা |
📌 অভিভাবকদের জন্য টিপস:
-
বাচ্চাদের সামনে নিজের দাঁত ব্রাশ করার অভ্যাস তৈরি করুন
-
রঙিন টুথব্রাশ বা গানের সঙ্গে ব্রাশ করলে বাচ্চারা উৎসাহী হয়
-
“দাঁতের পরী” বা ছোট গল্প দিয়ে দাঁতের যত্নকে মজার করে তুলুন
😊 শিশুর সুন্দর হাসি আমাদের অঙ্গীকার
শিশুদের দাঁতের সঠিক যত্ন মানেই সুস্থ ভবিষ্যৎ। ছোট থেকেই সচেতন থাকলে বড় হয়ে ডেন্টাল ঝামেলা অনেকটাই কমে যায়।
📅 আপনার বাচ্চার প্রথম বা পরবর্তী ডেন্টাল চেকআপ এখনই বুক করুন –
👉 আমাদের সাথে যোগাযোগ করুন