গর্ভাবস্থায় দাঁতের যত্ন কেন জরুরি?
গর্ভাবস্থায় ইস্ট্রোজেন ও প্রোজেস্টেরন হরমোনের পরিবর্তনের কারণে মুখের ভেতর একাধিক পরিবর্তন দেখা যায়। মাড়ি নরম হয়ে যেতে পারে, দাঁত থেকে রক্ত পড়তে পারে, এমনকি ক্যাভিটির ঝুঁকিও বেড়ে যায়।
🩺 গর্ভাবস্থায় সাধারণ দাঁতের সমস্যাগুলো:
| সমস্যা | লক্ষণ |
|---|---|
| গাম ডিজিজ (Pregnancy Gingivitis) | মাড়ি ফুলে যাওয়া, রক্ত পড়া, ব্যথা |
| ক্যাভিটি | দাঁত ব্যথা, গর্ত হওয়া |
| ইমেল ক্ষয় | বমির কারণে অ্যাসিড দাঁতের ক্ষতি করে |
| দাঁত আলগা অনুভব হওয়া | হরমোনের প্রভাবে দাঁতের সাপোর্টিং টিস্যু দুর্বল হয় |
✅ করণীয় (Care Tips)
১. নিয়মিত দাঁত ব্রাশ ও ফ্লস করা
-
দিনে ২ বার ফ্লোরাইড টুথপেস্ট ব্যবহার
-
ফ্লস ব্যবহার করুন দাঁতের ফাঁকে জমে থাকা খাবার সরাতে
২. খাবারে সচেতনতা
-
চিনি বা অ্যাসিডিক খাবার কম খাওয়া
-
বেশি পানি পান করুন
-
সকালে বমির পর মুখ কুলকুচি করে তারপর দাঁত ব্রাশ করুন
৩. ডেন্টাল চেকআপ করানো
-
গর্ভাবস্থার ২য় ত্রৈমাসিক (Second Trimester) হলো দাঁতের চিকিৎসার সবচেয়ে নিরাপদ সময়
-
গাম ডিজিজ বা দাঁত ব্যথা হলে দেরি না করে ডেন্টিস্ট দেখান
👉 আমাদের ডেন্টাল চেকআপ বুক করুন
৪. ওষুধ গ্রহণে সচেতনতা
-
যেকোনো ওষুধ বা এক্স-রে ডেন্টিস্টের পরামর্শ ছাড়া নয়
-
প্রয়োজন হলে চিকিৎসক গর্ভাবস্থার উপযোগী ওষুধ দেবেন
🛠️ দাঁতের সমস্যা হলে করণীয়
| সমস্যা | করণীয় |
|---|---|
| দাঁত ব্যথা | প্যারাসিটামল জাতীয় ওষুধ ডাক্তারের পরামর্শে গ্রহণ |
| ক্যাভিটি বা গর্ত | Fillings করা যেতে পারে; ইনফেকশন হলে জরুরি চিকিৎসা |
| মাড়ি ফোলা বা রক্ত | স্কেলিং করানো যেতে পারে (২য় ট্রাইমেস্টারে নিরাপদ) |
| দাঁত ভেঙে যাওয়া বা আঘাত | ডেন্টাল ইমারজেন্সি—দ্রুত চেকআপ প্রয়োজন |
🧠 মা সুস্থ তো শিশু সুস্থ
গবেষণায় দেখা গেছে, গর্ভাবস্থায় গাম ডিজিজ প্রি-ম্যাচিউর বেবি বা কম ওজনের শিশুর জন্মের ঝুঁকি বাড়ায়। তাই মায়ের মুখের স্বাস্থ্য মানেই শিশুর নিরাপদ ভবিষ্যৎ।
📞 আমাদের অভিজ্ঞ টিম গর্ভবতী মায়েদের জন্য নিরাপদ ও যত্নশীল ডেন্টাল কেয়ার প্রদান করে।
👉 এখানে অ্যাপয়েন্টমেন্ট বুক করুন
🌐 এক্সটারনাল রিসোর্স: