গর্ভধারণের আগে মুখের যত্ন জরুরি কেন?
গর্ভধারণের সময় দাঁত ও মাড়ির স্বাস্থ্যে বড় পরিবর্তন আসে। কিন্তু আগে থেকেই যদি মুখের স্বাস্থ্য ভালো না থাকে, তাহলে গর্ভাবস্থায় সমস্যা বেড়ে যেতে পারে।
বিশ্বজুড়ে গবেষণা বলছে – গর্ভবতী মায়েদের গাম ডিজিজ থাকলে প্রি-ম্যাচিউর বেবি বা কম ওজনের শিশুর জন্ম হওয়ার সম্ভাবনা বাড়ে।
তাই গর্ভধারণের আগে দাঁত ও মুখের স্বাস্থ্য পরীক্ষা ও চিকিৎসা নেওয়া খুবই জরুরি।
🦷 গর্ভধারণের পূর্বে মুখের সম্ভাব্য সমস্যা:
| সমস্যা | লক্ষণ |
|---|---|
| ক্যাভিটি (গর্ত) | দাঁত ব্যথা, খাবার আটকে যাওয়া |
| গাম ডিজিজ | মাড়ি ফোলা, রক্ত পড়া, গন্ধ |
| দাঁতের পাথর | ব্রাশ করার পরও হলদে/কালচে স্তর |
| দাঁত ভাঙা/দাঁতের গঠন সমস্যা | দাঁতের ধারালো অংশ বা অস্বস্তি |
| মুখের গন্ধ | ইনফেকশন বা দাঁতের ক্ষয়জনিত কারণে |
✅ করণীয়: গর্ভধারণের পূর্বে দাঁতের শ্রেষ্ঠ যত্ন
১. পূর্ণাঙ্গ ওরাল চেকআপ
👉 একজন অভিজ্ঞ ডেন্টিস্ট দ্বারা মুখ, দাঁত ও গামের অবস্থা যাচাই করিয়ে নিন
👉 রুটিন স্কেলিং, ক্যাভিটি ফিলিং, এক্স-রে ইত্যাদি এই সময় নিরাপদে করানো যায়
২. প্রয়োজনীয় চিকিৎসা আগে করে নেওয়া
-
দাঁতের গর্ত থাকলে ফিলিং বা রুট ক্যানাল
-
দাঁতের মাড়ি থেকে রক্ত পড়লে স্কেলিং
-
দাঁত তুলতে হলে গর্ভধারণের আগে সময়মতো করে ফেলা ভালো
৩. মুখের যত্নে দৈনন্দিন অভ্যাস গড়ে তোলা
-
দিনে ২ বার ব্রাশ করা
-
প্রতিদিন ফ্লস ব্যবহার করা
-
চিনিযুক্ত খাবার/ড্রিঙ্কস কমানো
-
প্রচুর পানি পান
📞 এখনই চেকআপ করান:
👉 আমাদের অভিজ্ঞ টিমের সঙ্গে যোগাযোগ করুন
একটি স্বাস্থ্যকর গর্ভাবস্থা শুরু হোক সুন্দর হাসি দিয়ে 💙
🎯 ভবিষ্যতের জন্য প্রস্তুতি
গর্ভাবস্থায় অনেক চিকিৎসা সীমিত করা লাগে – যেমন এক্স-রে, কিছু ধরনের ওষুধ, বা দাঁত তোলা। তাই আগে থেকেই সমস্যা চিহ্নিত ও সমাধান করে ফেললে ঝুঁকি কমে।
এছাড়া, মায়ের শরীরের যেকোন ইনফেকশন (যেমন দাঁতের) শিশুর স্বাস্থ্যে প্রভাব ফেলতে পারে – এটি সারা পৃথিবীর চিকিৎসকরা গুরুত্ব দিয়ে বলেন।
🌐 এক্সটারনাল লিঙ্ক:
🌸 সুস্থ মা, সুস্থ শিশু
গর্ভধারণের আগে দাঁতের যত্ন নেওয়া মানে নিজেকে ও ভবিষ্যতের শিশুকে নিরাপদ রাখা। এখনই সময় যত্ন নেওয়ার।
👉 আজই অ্যাপয়েন্টমেন্ট বুক করুন – আপনার যত্নে আমরা আছি।